মোবাইল ফোন রিপেয়ার করতে শিখলে তুমি নিঃসন্দেহে তোমার কর্মক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে পৌঁছবে তবে তা তখনি সম্ভব হবে যখন তুমি কোনো একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেবে। এক্ষেত্রে গুগলের উপর সম্পূর্ণ ভরসা রেখে তুমি জিজ্ঞেস করতেই করতেই পারো, “হুইচ ইস দা বেস্ট মোবাইল ফোন রিপেয়ার কোর্স নিয়ার মি?”
মোবাইল ফোন রিপেয়ার করা বলতে মূলত কোন কাজকে বোঝানো হয়?
আক্ষরিক অর্থে মোবাইল ফোন রিপেয়ার করা বলতে মূলত মোবাইল ফোনের কোনো যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের কাজকেই বোঝানো হয়. বর্তমান যুগে মোবাইলের এই বহুল ব্যবহার তা মেরামত করার কাজের চাহিদাও বাড়িয়ে তুলেছে। আর ঠিক তাই জন্যই লোকজন এইধরণের কাজকে নিজের কর্মজীবনে উন্নতির সিঁড়ি হিসাবে বেছে নিচ্ছে।
তুমি ভোকেশনাল ট্রেনিং কোর্সস করতে পারো এই প্রশিক্ষণটি নেওয়ার জন্য এবং এখন বহু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান সেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই কাজটি শিখে তোমার জীবনে সত্যি লাভ হবে কারণ বর্তমান যুগে এটি একটি বহুল প্রচলিত পেশা যা তুমি জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিতে পারো।
কাজটি শিখে তোমার লাভ কি ?
সত্যি বলতে এই মোবাইল রিপেয়ার করার কাজটি শিখতে পারলে তোমার কর্মজীবনে বিশেষ লাভ হবে. তার কারণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বর্তমান যুগে মোবাইল ছাড়া মানুষের জীবন অচল তাই এই যুগে এমন একজন মেরামতকারীর প্রয়োজন আছে যে খুব সহজেই সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান করতে পারবে।
- এই ক্রমবর্ধমান শিল্প জগতে তোমার কর্ম সংস্থানের কোনো সুযোগের অভাব হবে না এবং যদি ভালো কাজ শিখতে পারো তো সেক্ষেত্রে তুমি উন্নতির ও সুযোগ পাবে।
- শুধু যে একজন চাকুরীজীবি হিসাবে তোমার কাজের সুযোগ থাকবে তা নয় তুমি নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারো। তবে সেখানে তোমাকে অবশ্যই নিজের কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান হতে হবে.
কাজটিকে নিজের পেশা বানাতে তোমার মধ্যে কি কি গুন থাকতে হবে?
যেকোনো কাজকেই পেশা বানাতে হলে কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলীর প্রয়োজন হয় এবং এই পেশা ও তার ব্যতিক্রম নয় তাই যে যে গুণগুলো থাকলে তুমি এই পেশায় নিজেকে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারবে তা হলো,
- তোমার মধ্যে অতি অবশ্যই এই প্রশিক্ষণটি নেওয়ার জন্য বিশেষ আগ্রহ থাকতে হবে নাহলে কোনোদিনই তুমি এই কাজটিকে ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবে না.
- তোমাকে কাজটিকে এতটাই ভালোভাবে শিখতে হবে তুমি যাতে অতি সহজেই সমস্যা খুঁজে বের করতে পারো এবং একটি মোবাইলকে মেরামত করে ফেলতে পারো।
- এই পেশায় উন্নতি লাভ করতে হলে তোমার মধ্যে মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত কিছু জ্ঞান থাকতে হবে যা তোমাকে প্রশিক্ষণ রপ্ত করতে বিশেষ সাহায্য করবে।
কোন কোন কর্মপদে তুমি নিযুক্ত হতে পারো?
মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং সংক্রান্ত ভোকেশনাল ট্রেনিং কোর্সস করে তুমি এই শিল্পজগতে বিভিন্ন উচ্চপদে নিযুক্ত হতে পারো তবে সেটি তখনি সম্ভব হবে যদি তুমি এই কাজটিকে ভালোভাবে শিখে উঠতে পারো। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর তোমার যোগ্যতা বিচার করে যে যে কর্মপদে তুমি নিযুক্ত হতে পারো তা হলো,
- তুমি কোনো বড় সংস্থায় মোবাইল রিপেয়ারিং টেকনিশান হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারো এবং কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারো।
- তবে এক্ষেত্রে এটাই একমাত্র কর্মসংস্থানের পথ নয়. তুমি যদি ভালো কাজ করতে পারো সেক্ষেত্রে তুমি তোমার নিজের ব্যবসা ও চালু করতে পারো এবং তুমি তোমার ট্রেনিং সার্টিফিকেটটি দেখিয়ে স্বীকৃতি সহযোগে মোবাইল রিপেয়ার করার দোকান খুলতে পারো।
কিভাবে তুমি বুঝবে কোন প্রতিষ্ঠান তোমাকে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার যোগ্য?
একটি প্রশিক্ষণ নিতে গেলে যেটি তোমার সবচেয়ে আগে বিবেচনা করে দেখা উচিত তা হলো কোন প্রতিষ্ঠানটি এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ্য। যদিও তা খুঁজে বের করা কোনো সহজ কাজ নয় তবে এমন কিছু অসম্ভব ব্যাপার নয়. তোমার মনে হতেই পারে একজন সম্পূর্ণরূপে নতুন ছাত্র বা ছাত্রী হিসাবে কি করে তুমি এই সুযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করবে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, তুমি কিছু নির্দিষ্ট জিনিস পর্যালোচনা করলেই বুঝতে পারবে তোমার কোনটিকে বেছে নেওয়া উচিত।
- তুমি সবার আগে যা করতে পারো তা হলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের সাথে কথা বলে তাদের মতামত জানতে পারো।
- তাদের কাছ থেকেই উপদেশ নিয়ে সবসময় দেখে নেবে প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ কিনা একজন কর্মচারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে। এছাড়াও দেখে নেবে প্রতিষ্ঠানটি তোমাকে তোমার জীবনের প্রথম অর্থ উপার্জনের সুযোগ এনে দিচ্ছে কিনা।
যদি তুমি এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের খোঁজ না পেয়ে থাকো যা তোমার মনঃপুত হচ্ছে এবং তোমাকে তাড়াতাড়ি ভর্তি হতে হবে তো সেক্ষেত্রে তুমি গুগলকে প্রশ্ন করতেই পারো, “হু প্রোভাইড দা বেস্ট মোবাইল ফোন রিপেয়ার কোর্স নিয়ার মি?” তখন দেখবে সে প্রথম তিনটি উপদেশ হিসেবে যে নামগুলো দিচ্ছে তার মধ্যে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট একটি।
